বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা লালমনিরহাটে মাদক সেবনকারী ও পাচারকারী চক্রের ছোবলে তরুন ও যুব সমাজ লালমনিরহাটে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা; ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা এইচ টু বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, চুক্তিভঙ্গ এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি: রাজউকের দৃষ্টি আকর্ষণ বীর মুক্তিযোদ্ধা খ.ম. আমীর আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ: মুক্তিযোদ্ধা ও জনসাধারণের প্রতিবাদে উত্তাল জনমত ট্রান্সফরমার নষ্ট হওয়ার ঘটনায় বিতর্কিত ক্ষতিপূরণ বিল: নীলফামারীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে জোরপূর্বক আদায়ের অভিযোগ নেত্রকোনায় স্ত্রীকে হত্যার পর রশিতে ঝুলে স্বামীর আত্মহত্যা কুমিল্লা ইপিজেড মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা: ৯ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে” ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: ডিএমপি
আজ থেকে পর্যটকদের জন্য খুলছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

আজ থেকে পর্যটকদের জন্য খুলছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার প্রতিনিধি-

করোনা প্রাদুর্ভাবে গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ হওয়া পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হচ্ছে আজ সোমবার (১৭ আগস্ট)। স্বাস্থ্যবিধি মানাসাপেক্ষে সীমিত আকারে সৈকত তীরের হোটেল, মোটেল, কটেজ, রেস্ট্যুরেন্টসহ পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে এটিকে ‘পরীক্ষামূলক খুলে দেয়া’ বলে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

একই সঙ্গে পৌর এলাকার অবস্থিত হোটেল-মোটেলও শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভ্রমণ করতে হবে।

অন্যদিকে, মহামারিতে হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রশাসনের নির্দেশনা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমলেও ঝুঁকি এখনো আছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে স্থবিরতা চলে এসেছে। তাই নির্দিষ্ট কিছু শর্তে সীমিত আকারে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ কক্সবাজার পৌর এলাকা কেন্দ্রিক পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জেলার অন্য বিনোদনকেন্দ্রগুলো পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বিনোদনকেন্দ্রগুলো চালু করতে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা কয়েক দফা বসে নীতিমালা তৈরি করেছে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্রগুলো চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দিতে সেক্টরভিত্তিক নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। ’

এদিকে দীর্ঘ সময় পর সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসগুলো চালু হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এ সিদ্বান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনেই আমরা পর্যটকদের সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পর্যটকদের সাড়াও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ’

জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতা ঐতিহ্যবাহী ঝাউবন রেস্তোরাঁর মালিক মো. আলী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একটু কমলেও এখনো একেবারে বন্ধ হয়নি। তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা রেস্তোরাঁ চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, এ পরিস্থিতিতেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারবো। ’

অন্যদিকে, প্রশাসনের নির্দেশনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘কক্সবাজার জেলার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে বিভিন্নভাবে প্রায় দুই লাখ মানুষ জড়িত। তাদের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে পর্যটন শিল্প খুলে দেওয়া সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অবশ্যই স্বাস্থবিধি কঠোরভাবে মেনে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটন শিল্প খুলতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রণীত সব নিয়ম, শর্ত এবং জাতীয় গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com